ইউনিভার্সিটি লাইফ থেকেই বিসিএস প্রস্তুতি

ইউনিভার্সিটি লাইফ থেকেই বিসিএস প্রস্তুতি অনেকে জিজ্ঞাসা করেন যে আমি কীভাবে প্রস্তুতি নেব? আমার কি কি গাইড/ বি পড়া উচিত? কোন বিসিএস প্রতাসী যে ভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেন। প্রথমেই আপনি একটি পরিকল্পনা করে ফেলুন : প্রস্তুতির শুরুতে প্রথম কাজটি পুরো বিসিএস সম্পর্কে জানা ও সিলেবাসটি ভাল করে ফলো করা। সিলেবাসদেখে কি কি পড়তে হবে তা দেখা। প্রিলিমিনারি পাসের জন্য কী পড়তে হবে তারসাথে আপনার কী পড়ার দরকার নেই তাও আপনার জানতে হবে। বিষয়গুলি যা জীবনে পরীক্ষা করা হবে না – গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি বারবার পড়ার চেয়ে অনেক ভাল। এখনই প্রস্তুতি শুরু করুন। এবং কোন সিস্টেম এ পরবেন তা থিক করে ফেলুন।

 

বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রশ্ন ব্যাংক: ১০ম থেকে ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমস পর্যন্ত প্রশ্নগুলি দেখে প্রশ্ন ব্যবস্থা সম্পর্কে ধারণা পান। যদিও ৩৫ তম বিসিএস থেকে প্রশ্নগুলি পুনরাবৃত্তি করার প্রবণতা হ্রাস পেয়েছে, আগের প্রশ্নগুলি আপনার জন্য মানদণ্ড হিসাবে কাজ করবে এবং বারতি আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। বিসিএসের প্রশ্নব্যাংক বা জব সলিউশন (বিগত বছরগুলির প্রশ্ন) বাজারে আশ্বাস, প্রফেসরসহ বেশ কয়েকটি প্রকাশনার বই পাওয়া যায়।

৪৭তম বিসিএস প্রস্তুতি যেভাবে শুরু করবেন

বইয়ের তালিকা: বিসিএস প্রস্তুতির শুরুতে নতুন প্রাথ্রীরা বিভিন্ন মাধ্যমের বই সম্বলিত তথ্য শুনে ভয়ে পিছিয়ে যান। তবে কয়েকটি বই পড়ে প্রাথমিকভাবে পাস করা সম্ভব।

২। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য,
২।ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য,
৩।গাণিতিক যুক্তি ,
৪৷ সাধারণ বিজ্ঞান,
৫৷ কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি,
৬৷ বাংলাদেশ বিষয়াবলি,
৭৷ আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি,
৮৷ ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা,
৯৷ নীতিশাস্ত্রের মান এবং সুশাসনের,
১০৷ মানসিক দক্ষতা প্রশ্ন করা হয়। । প্রতিটি বিষয়ের জন্য বই কালেক্ট করুন অতন্ত এক কপি করে।

ইউনিভার্সিটি লাইফ থেকেই বিসিএস প্রস্তুতি

 

বিষয় ভিক্তিক বই এর বিস্তারিতঃ

বাংলা, বাংলাদেশ বিষয়ক এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক প্রফেসর, ওরাকল, এমপি 3 বা আপনার পছন্দের যে কোনও প্রকাশনা থেকে বই সংগ্রহ করতে পারেন।
ইংরেজির জন্য ‘প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ইংলিশ’ বইটির মাস্টার্স বইটি দেখতে পাবেন।

গাণিতিক যুক্তি, মানসিক দক্ষতা এবং সাধারণ বিজ্ঞানের জন্য আপনি ওরাকল বইগুলি দেখতে পারেন। কম্পিউটার এবং তথ্য প্রযুক্তির জন্য আপনি সহজ প্রকাশনার বই পড়তে পারেন।

ভূগোল, পরিবেশ ও দুযোগ ব্যব কস্থাপনা জন্য MP 3 সংগ্রহ করতে পারেন। কিংবা ডাইজেস্ট থেকে পড়ে আপনি এর উত্তর দিতে পারেন।

বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার আগের মুহুর্তে (যখন মূল প্রস্তুতি শেষ হয়ে যাবে) আপনি চাকরীর প্রস্তুতির মাসিক পত্রিকাটির বিশেষ সংখ্যা এবং প্রিলিমিনারি ডাইজেস্ট থেকে আপনার প্রস্তুতির শেষ করতে পারেন। এছাড়াও মহিদ’স সম্পাদকীয় সমাচার পরতে পারেন যা আপনার রাইটিং স্কিল ডেভেলপ করবে। বাড়তি প্রস্তুতির জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের কিংবা আরিফুর রহমানের লেখা বাংলাদেশের সংবিধান; বাংলার জন্য ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা এবং অগ্রদূত বাংলা; ইংরেজি সাহিত্যের জন্য শরীফ হোসাইনের প্র্যাকটিক্যাল হ্যান্ডবুক, গ্রামারের জন্য মাস্টার; গণিতের জন্য খায়রুলস বেসিক ম্যাথ; বিজ্ঞানের জন্য জামিলস বিজ্ঞান; বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির জন্য আজকের বিশ্ব বইগুলো দেখতে পারেন।

পুরো রেফারেন্স বই বা বোর্ড বই পড়ে সময় নষ্ট না করে, এসব বই থেকে সামারি করে প্রস্তুত করা গাইড বই পড়লে অর্ধেক সময় বেঁচে যাবে। গুরুত্বপূর্ণ টপিক গুলো কালারিং বা আন্ডারলাইন করুন।

️কিভাবে অনার্স থেকে শুরু করবেন বিসিএস প্রস্তুতি

প্রিলি পাসঃ প্রিলির হলো রিটেনে অংশ নেওয়ার ‘পারমিশন কার্ড’ পাওয়ার পরীক্ষা। ক্যাডার পাওয়ার ক্ষেত্রে শুধু রিটেন ও ভাইভার নম্বর যোগ হবে। তাই প্রিলিতে কাট মার্কস বা সর্বনিম্ন নম্বর (পিএসসি নির্ধারণ করে থাকে এবং একেক বিসিএসে একেক রকম হয়) পেয়ে পাস করলেও কোনো সমস্যা নেই।

অনেক সময় প্রশ্নপত্রে কনফিউজিং প্রশ্ন দেওয়া থাকে, যেগুলোতে সময় নষ্ট হয়। এগুলো যতটা সম্ভব এড়িয়ে যেগুলো পাড়বেন সেগুলোতে আগে সময় দিন। প্রিলিতে সব বই পড়ে কিংবা সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ২০০-তে ২০০-ই পেতে হবে, এমনটি ভেবে চাপ নেওয়ার দরকার নেই। এক্ষেত্রে শুধু পাত্র পাস নম্বর হলেই হলে,প্রয়োজনে দিলেবাস দেখে কিছু বিষয় বাদ ও দিতে পারেন, তবে পরে ফেলতে ভালো। রিটেন ও ভাইবাতে কাজে আসবে।

হতাস নয় : সব বিষয়ে সবার সমান দক্ষতা থাকে না। কোনো বিষয়ে আপনার দুর্বলতা থাকলেও প্রিলিতে পাস করা সম্ভব। প্রিলিতে যেহেতু প্রতিটি বিষয়ে আলাদা আলাদা পাস করতে হয় না, তাই পুরো ইংরেজি অংশ (৩৫ নম্বর) বাদ দিলেও ১৬৫ নম্বর অথবা পুরো গণিত অংশ (১৫ নম্বর) বাদ দিলেও ১৮৫ নম্বর থেকেই প্রিলিতে পাস করা সম্ভব! তাই কোনো বিষয়ে আপনার দুর্বলতা থাকলে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে দুর্বলতা কাটানোয় মন দিন।শেষ্টা করতে থাকুন বার বার পরুন তখন এমনিতেই সহজ মনে হবে।

 

ইউনিভার্সিটি লাইফ থেকেই বিসিএস প্রস্তুতি

পড়ে যান, মূল্যায়ন করুন : বেশির ভাগ প্রার্থীর কমন একটি জিজ্ঞাসা হলো অনেক কিছু পড়ছি, কিন্তু মনে থাকে না।’ সব কিছু পড়ে শতভাগ মনে রাখা অনেকের ক্ষেত্রেই সম্ভব না। আপনি আপনার মতো পড়াশোনা চালিয়ে যান। অনেক কিছু পড়ে, এর কিছুটা ভুলে, কিছুটা মনে রাখার নামই শিক্ষা। কেউ কেউ জানতে চান, ‘কতক্ষণ পড়তে হবে?’ এটি আপনার মেধা ও সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে। তবে আপনি সর্বোচ্চটাই দেওয়ার চেষ্টা করবেন। মনে না থাকা টপিক গুলো বারা বার পড়ুন।
প্রিলি পাসের জন্য শুধু স্মরণশক্তি থাকলেই হয় না, সারা জীবনের অর্জিত জ্ঞান, মেধা, সিক্স সেন্স—সব কিছুর সমন্বয় করতে হয়। অন্যরা কী পারে-না পারে, সেদিকে লক্ষ না রেখে

আপনার দুদিন আগের অবস্থা আর আজকের অবস্থার জ্ঞানগত অগ্রগতি বা পরিবর্তনকে মূল্যায়ন করুন। এবং সময় হলে ১ ম শ্রেণী থেকে ১০শ্রেণী গণিত ও অন্যান্য বিষয় এর উপর ছোট ভাই,বোনদের পড়াতে পারেন এতে আপনার বাড়তি অনেক কিছু জানা হবে।

মডেল টেস্ট প্রস্তুতি : প্রস্তুতি মোটামুটি শেষ হয়ে আসার পর বাসায় বসে সময় ধরে নিজে নিজে মডেল টেস্ট দিন। কতগুলো সঠিক হচ্ছে; অজানা প্রশ্নগুলো সিক্স সেন্স থেকে উত্তর করলে সঠিক হওয়ার সম্ভাব্যতা কতটুকু, সব কিছুই পর্যালোচনা করবেন। বাজারে প্রিলির নমুনা বই সংগ্রহ করুন।

ইংরেজিঃ ইংরেজিতে ভালো করতে হলে ভকাভলারি বাড়ান এক্ষেত্রে সাইফুরসের ইস্টুডেন্ট ভকাবলারি,অনুবাদ পিডিয়া,দৈনিক ইংরেজি সংবাদপত্র পড়ুন।বিশেষ করে এডিটরিয়াল ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করুন ও অজানা শব্দ গুলো নোট করে খাতায় লিখুন।

 

প্রতিদিন নিত্য নতুন সকল জনপ্রিয় প্রাইভেট চাকরি ও সকল সরকারি চাকরি খবর বিস্তারিতভাবে জানতে আমাদের ওয়েবসাইট বুকমার্কে সেভ করে রাখুন। প্রতিদিন কমিউনিটি ক্লিনিক নিয়োগ ২০২৪ এর মত বিস্তারিত সরকারি চাকরি ও প্রাইভেট চাকরির খবর দেখতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

About Upazilajob

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *